১) পরিবেশ শিক্ষা কাকে বলে? এর গুরুত্ব বা তাৎপর্য আলোচনা কর।
Ø পরিবেশ শিক্ষার সংজ্ঞা:
পরিবেশ শিক্ষার উপরে নানা শিক্ষাবিদ,
বিজ্ঞানী এবং বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন মতামত জ্ঞাপন করেছেন। যার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ
করা হল-
A B Saxena তাঁর
'Environmental Education' পুস্তকে বলেছেন, পরিবেশ শিক্ষা হল পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা
এবং বোধগম্যতা গড়ে তোলার একটি প্রক্রিয়া।
1977 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে
UNESCO আয়োজিত Tibilisi সম্মেলনে (Georgia, USSR, October 14-26) পরিবেশ শিক্ষা সম্পর্কে
বলা হয়েছে-ব্যক্তিমানুষ, জনগোষ্ঠী এবং প্রকৃতির নিজস্ব সৃষ্টি ও গড়ে তোলা পরিবেশ উভয়কে
আনা এবং তার সঙ্গে জীববিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে
থেকে উপযুক্ত জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ ইত্যাদি নিয়ে পরিবেশের সমস্যাসমাধানের
মধ্য দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়নই পরিবেশ শিক্ষার উদ্দেশ্য।
Rao এবং Reddy বলেছেন, পরিবেশ শিক্ষা হল পরিবেশ সম্পর্কে এবং পরিবেশের জন্য পরিবেশকে জানা।
Ø পরিবেশবিদ্যার গুরুত্ব:
পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বর্তমানে পরিবেশের বিবর্তনের জন্য মনুষ্যসৃষ্ট ক্রিয়াকলাপকেই বেশি দায়ী বলে মনে করা হয়। লক্ষ লক্ষ বছর আগে পরিবেশ ছিল বর্তমানের চেয়ে অনেক আলাদা। বর্তমানে মানুষ বিজ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের বিবর্তন ঘটিয়ে নানা প্রকার দূষণের সৃষ্টি করেছে, যেমন- কলকারাখানার গোঁয়া বাতাসে মেশার ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছে, বাতাসে অক্সিজেন (০₂)-এর পরিমাণ কমে আসছে, কার্বন-ডাইঅক্সাইড (CO₂) ও কার্বন মনোক্সাইড (CO) বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সেইসঙ্গে হিমায়িত বরফ গলে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে পরিবেশবিদ্যার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশবিদ্যার মাধ্যমে পরিবেশের সঠিক মূল্যায়ন প্রতিটি মানুরের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেমন সম্ভব, তেমনি এর মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করছে এমন দিকগুলি তুলে ধরাও সম্ভব।
পরিবেশের বিভিন্ন দূষণ, যেমন-জলদূষণ, মৃত্তিকাদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ প্রভৃতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারে পরিবেশবিদ্যার পাঠ। তাই বর্তমানে আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে দাঁড়িয়ে পরিবেশবিদ্যার গুরুত্ব অপরিসীম।
পরিবেশবিদ্যার পাঠ হল সেই পাঠ
যা সঠিক জ্ঞানলাভের মাধ্যমে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং পরিবেশের অবক্ষয়
রোধের উপায় বলে দিতে সাহায্য করে, যার মাধ্যমে আমরা বসবাস-উপযোগী দূষণমুক্ত পরিবেশ
গড়ে তুলতে পারি।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।