Q: Open
Diplomacy
v মুক্ত কূটনীতি
মুক্ত কূটনীতি বলতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
পরিচালনা এবং চুক্তির বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণকে
বোঝায়, যা ঐতিহ্যবাহী গোপন কূটনীতির বিপরীতে অবস্থান করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন
প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন তাঁর বিখ্যাত চৌদ্দ দফা -এর প্রথম দফায় এই ধারণার পক্ষে সওয়াল
করেছিলেন: "শান্তি চুক্তি হতে হবে প্রকাশ্য, প্রকাশ্যে সম্পাদিত, এবং এর পরে কোনো
ব্যক্তিগত আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া বা কোনো ধরনের গোপন কূটনীতি থাকবে না।"
মুক্ত কূটনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক
প্রক্রিয়াগুলিতে আস্থা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা। আলোচনার বিষয়বস্তু এবং ফলাফল
প্রকাশ্যে আসার ফলে সরকারগুলি তাদের নিজ দেশের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
কাছে দায়বদ্ধ থাকে, যা চুক্তির বৈধতা বাড়ায়। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি এবং সামাজিক
মাধ্যমের যুগে মুক্ত কূটনীতির প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়েছে, কারণ কূটনৈতিক প্রক্রিয়া
এখন তাৎক্ষণিকভাবে জনসমক্ষে চলে আসে।
তবে মুক্ত কূটনীতির কিছু চ্যালেঞ্জও
রয়েছে। যখন আলোচনা জনসমক্ষে চলে আসে, তখন কূটনীতিকরা তাদের অবস্থানে আপস করতে বা নমনীয়তা
দেখাতে দ্বিধাগ্রস্ত হন, কারণ আপস করাকে নিজ দেশে দুর্বলতা হিসেবে দেখা হতে পারে। এর
ফলে আলোচনা দীর্ঘায়িত হতে পারে বা অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তাই, বেশিরভাগ আধুনিক
কূটনীতিতে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলি প্রকাশ্যে নেওয়ার আগে আলোচনার কিছু অংশ গোপনে বা
পর্দার আড়ালে করা হয়।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।

