প্রস্তাবনার গুরুত্ব।
প্রতিটি দেশের সংবিধানের একটি
মতাদর্শগত ভিত্তি আছে, যার প্রতিফলন ঘটে তার প্রস্তাবনার মধ্য দিয়ে। ভারতীয় সংবিধানের
শুরুতে প্রস্তাবনা সংযোজিত থাকলেও যেহেতু সেটি মূল অংশের অন্তর্ভুক্ত নয় তাই প্রস্তাবনার
আইনগত দিকটিও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।
বেরুবাড়ি মামলায় সুপ্রিমকোর্ট
এই অভিমত পেশ করে যে, প্রস্তাবনাকে সাংবিধানিক কার্যকরী অংশ বলে বিবেচনা করা যায় না।
সংবিধানের মূল অংশের সঙ্গে প্রস্তাবনার বিরোধ বাঁধলে আদালত সংবিধানের মূল অংশকে গ্রহণ
করবে; প্রস্তাবনাকে নয়। এ ছাড়া একাধিক মামলায় (যেমন-এ কে গোপালন বনাম মাদ্রাজ রাজ্য
মামলা) প্রস্তাবনাকে সংবিধানের কার্যকরী অংশ বলে গ্রহণ না করার ইঙ্গিত থাকে। আবার কেশবানন্দ
ভারতী বনাম কেরল রাজ্য মামলায় (1973) ভারতের সুপ্রিমকোর্ট রায় দেয় যে, প্রস্তাবনা হল
সংবিধানের অংশ। পন্ডিত ঠাকুরদাস ভার্গব প্রস্তাবনার গুরুত্বকে স্বীকার করে নিয়ে বলেন,
প্রস্তাবনাই সংবিধানের মূল্যবান অংশ, এটি সংবিধানের প্রাণ, সংবিধানের চাবিকাঠি।
আইনগত দিক থেকে প্রশ্ন থাকলেও
প্রস্তাবনার তাৎপর্য ও গুরুত্বকে অস্বীকার করা যায় না।
প্রথমত, প্রস্তাবনা সংবিধানের
আইনগত ও নৈতিক দিকের প্রতিফলন ঘটায়।
দ্বিতীয়ত, সংবিধানের উৎস, বৈশিষ্ট্য,
উদ্দেশ্য, নীতি সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয় প্রস্তাবনা।
তৃতীয়ত, মূল সংবিধানের কোনো অর্থ
অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক হলে প্রস্তাবনার সাহায্যে তা স্পষ্ট করা যায়।
চতুর্থত, প্রস্তাবনা ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।