ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণগুলি আলোচনা করো। #NBU #GJCC #NOTES

Nil's Niva
2 minute read
0

প্রশ্ন- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণগুলি আলোচনা করো। 

[ Discuss the causes of Quit India Movement.]  

ক্রিপস মিশন ও আইন অমান্য আন্দোলনের ব্যর্থতার এই গান্ধীজীর তীব্র ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। অন্যদিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতের উপর জাপানের আক্রমণ ব্রিটিশ সরকারকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছিল। এমতাবস্থা গান্ধীজী ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ২৬ এপ্রিল 'হরিজন' পত্রিকাতে 'ভারত ছাড়ো' নামে একটি প্রবন্ধের বলেন- "ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবিলম্বে অবসান চাই। চাই বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য নাৎসিবাদ, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের অবসান"। এরপর মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা অধিবেশনে 'কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি' গান্ধীজীর 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের প্রস্তাব অনুমোদন করে এবং ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ৯ আগস্ট গান্ধীজীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলন শুরু হয়।

Ø ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণগুলি হল-

1. ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ক্রিপস মিশন ভারতে আসে। এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের অংশগ্রহণ করানো। তবে মিশনটি ভারতীয়দের দাবি পূরণে কোনো ভূমিকা রাখেনি। ফলে ক্রিপস মিশন ব্যর্থ হয় এবং ভারতীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

2. রাজনৈতিক চাঞ্চল্য: ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ইংরেজ সরকার ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ভারতকে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে ভারতীয় রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এবং ভারতীয়রা ব্রিটিশ বিরোধী হয়ে ওঠে।

3. জাপানি আক্রমণের আশঙ্কা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল দখল করার পর ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ফলে ভারতে জাপানি আক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় ভারতীয়রা এর প্রতিকার স্বরূপ ইংরেজদের বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

4. সরকারি দমন নীতি: আইন অমান্য আন্দোলনের পরবর্তীকালে ভারতীয়রা নিজেদের দাবি পূরণ করতে এবং ইংরেজদের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে সরকার দমন নীতি প্রয়োগ করে বিদ্রোহ দমন করে।

5. আর্থিক শোষণ: ইংরেজ সরকার ভারতীয়দের ওপর অত্যধিক হারে রাজস্ব আরোপ, অর্থ লুণ্ঠন ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মাধ্যমে আর্থিক শোষণ চালায়। ফলে ভারতীয়রা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।

6. স্বাধীনতার স্পৃহা: ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও স্বাধীনতার স্পৃহা জেগে উঠলে তারা প্রতিবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের দাবি পূরণ করতে এবং স্বাধীনতা অর্জন করতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে।


 

 

 

জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার

তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি

অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
bookstore