প্রশ্ন- মৌর্যযুগের প্রধান ঐতিহাসিক
উপাদানগুলি কী কী?
মৌর্যযুগের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রচুর উপাদান
আমাদের হাতে এসেছে। এইসব উপাদানগুলিকে মূলত সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক এই দু-ভাগে
ভাগ করা যায়। কৌটিল্যের 'অর্থশাস্ত্র' থেকে সমকালীন মৌর্য রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমাজ
ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিস্তৃত ও নির্ভরযোগ্য বিবরণ পাওয়া যায়। 'বিষ্ণুপুরাণ', 'গার্গী
সংহিতা' এবং পতঞ্জলির 'মহাভাষ্য' এই যুগের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে স্বীকৃত। বৌদ্ধগ্রন্থ
'মহাবংশ', 'দীপবংশ', এবং জৈনগ্রন্থ 'কল্পসূত্র' ও হেমচন্দ্র রচিত 'পরিশিষ্টপার্বণ'
চন্দ্রগুপ্ত সম্পর্কে নানা তথ্য সরবরাহ করে। মৌর্যযুগের কয়েকশত বছর পরে রচিত হলেও বিশাখদত্তের
'মুদ্রারাক্ষস' নাটক থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উত্থান, নন্দবংশের পতন এবং মৌর্যযুগের
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনের বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া গ্রিকবীর আলেকজান্ডারের
সঙ্গী হিসেবে ভারতে আগত তিনজন গ্রিক পর্যটক নিয়ারকাস, ওনিসিক্রিটাস ও অ্যারিস্টোবুলাস-এর
বিবরণ থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানা যায়। তাঁর রাজ্যসভায় আগত
গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস রচিত 'ইন্ডিকা' গ্রন্থ এই যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রত্নতাত্ত্বিক
উপাদান হিসেবে সম্রাট অশোকের অসংখ্য শিলালিপি ও স্তম্ভলিপি, কলিঙ্গরাজ খারবেলের হাতিগুম্ফা
লিপি, শক রাজা রুদ্রদামনের জুনাগড় লিপি প্রভৃতি মৌর্যযুগের ইতিহাস রচনায় আমাদের নানাভাবে
সাহায্য করে।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।