প্রশ্ন- পরবর্তী গুপ্ত রাজবংশ সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর- গুপ্ত সাম্রাজ্যের অবসানের পর বেশ কিছু গুপ্ত নামধারী রাজা মগধ ও মালব অঞ্চলে রাজত্ব করতেন। ইতিহাসে এঁরা পরবর্তী গুপ্ত রাজবংশ নামে পরিচিত। তবে ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, এই গুপ্ত রাজারা ছিল আলাদা। মূল গুপ্ত বংশের সঙ্গে এঁদের কোনো রক্তের সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু অনেকে ড. মজুমদারের এই মত স্বীকার করেন না। এদের মতে পুরুগুপ্তের বংশধররাই পরবর্তী 'গুপ্তবংশ' নামে পরিচিত। আফসাদ লেখ অনুযায়ী এই বংশের রাজারা হলেন কৃষ্ণগুপ্ত, হর্ষগুপ্ত, জীবিতগুপ্ত, দামোদরগুপ্ত, মহাসেনগুপ্ত, মাধবগুপ্ত ও আদিত্যসেন।
মগধ পরবর্তী গুপ্তরাজাদের প্রথম স্বাধীন নৃপতি ছিলেন কৃযুগুপ্ত, এই বংশের চতুর্থ রাজা কুমারগুপ্ত মৌখরী রাজ ঈশানবর্মনকে পরাজিত করেন। পরবর্তী শাসক দামোদরগুপ্ত ও মহাসেনগুপ্তের শাসনকালে মালব থেকে কামরূপ পর্যন্ত বিস্তীর্ন অঞ্চল তাদের সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। মহাসেন গুপ্ত তিব্বতী ও চালুক্যদের কাছে পরাজিত হয়ে মালবের ওপর তার অধিকার হারান। অতপর শশাঙ্ক মগধ ও গৌড় দখল করে নিলে মহাসেন গুপ্ত পুত্রকন্যা সহ থানেশ্বরের প্রভাকর বর্ধনের কাছে আশ্রয় নেন। মাধবগুপ্তের পুত্র আদিত্য সেনগুপ্ত মগধ পুনরুদ্ধার করেন ও 'মহারাজাধিরাজ' অভিধা গ্রহণ করেন। তিনি 673 খ্রিস্টাব্দ রাজত্ব করেন ও অশ্বমেধযজ্ঞ সম্পাদন করেন।
পরবর্তী গুপ্তদের অপর এক শাসক মালবে রাজত্ব করতেন। যিনি দেবগুপ্ত নামে ইতিহাসে পরিচিত। থানেশ্বরের পুষ্যভূতি শাসকদের সঙ্গে তার বৈরী সম্পর্ক ছিল। তিনি শশাঙ্কের সঙ্গে জোট গঠন করেন এবং থানেশ্বরের বন্ধু রাষ্ট্র মৌখরীদের আক্রমণ করেন। দেবগুপ্তের হাতে মৌখরীরাজ গ্রহবর্মা পরাজিত ও নিহত হন। পরবর্তী গুপ্তবংশের শেষ রাজা ছিলেন জীবিতগুপ্ত।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।