প্রশ্নঃ সামাজিক গবেষণায় তথ্য উপস্থাপনের জন্য রেখাচিত্রের গুরুত্ব আলোচনা কর।
***********************************
সামাজিক গবেষণা:
সমাজবিজ্ঞানে সামাজিক গবেষণা বা গবেষণা নক্শা বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণত,
সামাজিক গবেষণা বা গবেষণা নক্শা বলতে বোঝায়, বিজ্ঞানভিত্তিক অনুসন্ধান, অধ্যায়ের বিষয়বস্তু,
পরিকল্পনা প্রভৃতি। তবে আলোচ্য বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে গবেষকের বিচার বিবেচনার
উপর। তিনি কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন, তাতে কি ফল আশা করবেন তার উপর।
গবেষণার রূপরেখা কি?
গবেষণার রূপরেখা বিষয়টি সমাজতত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এর মধ্য দিয়ে
সমাজতত্ত্বের বিকাশ ঘটে থাকে। বিভিন্ন দিক থেকে গবেষণার রূপরেখা বিষয়টি গড়ে উঠে। যে
কোন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি না থাকলে সেই বিষয় বাস্তবায়িত হয় না। অর্থাৎ গবেষণার
রূপরেখা হল সেই বিষয়, যা গবেষণার সামগ্রিক বিষয়কে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে বেঁধে ফেলে।
সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা প্রকার ভেদ:
সামাজিক গবেষণার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি হল এই যে, এর মধ্য দিয়ে একটি নতুন সামাজিক তত্ত্বের
উদ্ভাবন ঘটে। এছাড়া এর মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ আর্থ-সামাজিক রেখাচিত্র গড়ে ওঠে। সামাজিক
গবেষণার বিভিন্ন প্রকারভেদগুলি বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে
সমাজ বিজ্ঞানীরা সামাজিক গবেষণাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেছেন ও তাঁদের ব্যক্তিগত
মতামত প্রকাশ করেছেন। গবেষণাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে গবেষকগণ গবেষণার প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপগুলি আলোচনা করেছেন। এগুলি হল নিম্নরূপ:-
(ক) বিষয়গত পর্যালোচনা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় পদাক্ষপ:
সমাজবিজ্ঞানীদের মতামত অনুসারে গবেষণা সংক্রান্ত বিষয় সবসময় সমাজ থেকে সংগৃহীত হবে।
গবেষণার বিষয় সমাজ থেকে সংগৃহীত না হলে তা আর যাই হোক সামাজিক গবেষণা বলে প্রতিপন্ন
হয় না। যেমন বলা যায় যে মাদক সেবন প্রসঙ্গে গবেষণার প্রসঙ্গ নির্ধারণ হয়েছে। সেক্ষেত্রে
গবেষককে মাদক সেবন প্রসঙ্গে জ্ঞান থাকা প্রয়োজনীয়। এর থেকে বোঝা যায় যে গবেষককে প্রসঙ্গ
উত্থাপনের মধ্য দিয়ে সামাজিক ঘটনাবহুল তথ্যাবলীকে স্থান দেওয়া আবশ্যক যেন এর থেকে গবেষণামূলক
প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
(খ) বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাতার্থ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
সামাজিক গবেষণায় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বিষয়বস্তু উত্থাপিত হতে পারে। তাই গবেষককে সবসময়
প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুকে নির্বাচন করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হল যাতে নির্বাচিত বিষয়বস্তুটি
স্পষ্ট হয়। তাই প্রত্যেক গবেষককে অধিক পরিমাণে পত্রপত্রিকা অধ্যয়ন করতে হবে।
(গ) ধারণা ও তাদের পরিমাপ সম্বন্ধে ব্যাখ্যা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ: সামাজিক গবেষণায় সামাজিক প্রত্যয়ীকরণ
সংক্রান্ত যথার্থতা হল একটি জটিল কাজ। যেমন মাদক সেবন, শিশুর উপর অত্যাচার, ড্রাগ সেবন,
এইসব বিষয়গুলি হল আমাদের কাছে অতি পরিচিত বিষয়। কিন্তু এই সব বিষয়গুলিকে যখনই গবেষণায়
অন্তর্ভুক্ত করা যায় তখন এ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা ব্যাখ্যা করার দরকার হয়।
(ঘ) গবেষণার উদ্দেশ্য, মূল্যবান এবং নীতিসমূহ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ: গবেষণার উদ্দেশ্য, গবেষণার মূল্যবান
এবং গবেষণার নীতিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর দ্বারা গবেষণার প্রাসঙ্গিকতা প্রতিষ্ঠিত
হয় এবং সে সম্পর্কে গবেষক নির্ধারিত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরী করতে পারেন। গবেষকের গবেষণায়
যা তুলে ধরা হবে তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে মূল্যবান। তবে একথা ঠিক যে অনেক গবেষণাতেই
এই সব নীতিগত বিষয়গুলি যথার্থভাবে ব্যবহার করা হয় না। এটি হল গবেষণার একটি অন্যতম পদক্ষেপ।।
(ঙ) নমুনা নির্বাচন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
সামাজিক গবেষণায় নমুনায়ন পরিকল্পনা গবেষণার অনুপাতের দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। যদি সম্ভাব্যভিত্তিক
নমুনায়ন নির্ধারণ করা না যায়, কারা গবেষণার উত্তরদাতা হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করবেন -তা
যদি স্বচ্ছ ভাবে তৈরী করা না যায়, তাহলে অসম্ভাব্যতাভিত্তিক নমুনায়ন পদ্ধতিতে তা নির্ধারণ
করতে হবে। এটি হল গবেষণার একটি অন্যতম পদক্ষেপ।
(চ) কার্যকরীকরণ এবং গবেষণা সংক্রান্ত প্রযুক্তির নকশা সম্পর্কিত
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: সমাজবিজ্ঞানী বেভার-এর মতামত
অনুযায়ী বলা যায় কোন প্রকার পরীক্ষণে স্বাধীন কার্যকরীকরণ একটি উদ্দীপকের কাজ করে।
গবেষক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ করে কার্যকরীকরণে নিয়োজিত থাকেন।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ
গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
6295916282; 7076398606
www.gyanjyoti.info| Nil’s Niva
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।