Why did Japan Join in the Second World War?

Nil's Niva
0

 Q.Why did Japan Join in the Second World War?

                           প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানি নৌ-শক্তির অভ্যুত্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহের চোখে দেখে। চীনে জাপানের আগ্রাসী নীতিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করেনি। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ইতালির সঙ্গে জাপানের মৈত্রীও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপছন্দ ছিল। ১৯৩৮ সালে জাপানকে বিমান সরবরাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করে দেয়। ক্রমে পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য, লোহা ও যুদ্ধের প্রয়োজনীয় উপকরণ রপ্তানিও বন্ধ হয়। জাপানে এই আশংকা দেখা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো সব ধরনের অত্যাবশ্যক দ্রব্যের রপ্তানিই বন্ধ করে দেবে। সেজন্য তার দৃষ্টি পড়ে তৈল-সমৃদ্ধ ওলন্দাজ অধিকৃত ইন্দোনেশিয়ার ওপর। ১৯৪১ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ ইন্দোচীন দখল করে নেয়। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানে তেল সরবরাহ বন্ধ করে।

                           ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই জাপান চীন আক্রমণ করেছিল। জাপানি সেনারা চীনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোকে দখল করে নিয়েছিল। চীনের ওপর জাপানি আগ্রাসনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেনে নিতে পারেনি। জাপানের সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদ করতে চেয়েছিল। ১৯৩৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে বিমান সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। জাপান ১৯৪০ সালে নিজের শক্তি বাড়াবার জন্য জার্মানি ও ইতালির সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক অক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

                             স্বাভাবিকভাবে দুই ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের এই সখ্যতাকে মার্কিন জনমত মানতে পারেনি। মূলত এই চুক্তিটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী। স্বাভাবিক কারণে মার্কিন জাপান সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে সময়ে জাপানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে রাজি ছিল না।

                             জাপান সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সাথে যে কোনো মুহূর্তে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদ করে দেবে। জাপানের মন্ত্রীসভা ১৯৪০ সালের জুলাই মাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ইঙ্গ-ডাচ-ফরাসি-পর্তুগিজদের উপনিবেশগুলোকে দখল করা হবে। ১৯৪১ সালে জাপান দক্ষিণ ইন্দোচীনকে দখল করে নিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন ও ডাচদের উপনিবেশ, পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ বা ইন্দোনেশিয়ায় জাপানের সব রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর ফলে জাপানের পেট্রোলিয়াম আমদানি শতকরা ১০ ভাগ কমে গিয়েছিল। জাপান সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। জাপান অনুভব করেছিল এই অবস্থা চললে তার মজুত তেল ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে। জাপান এই অবস্থার অবসানের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই অবস্থার অবসান না হলে জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে জাপানি নেতারা আশা করেছিলেন যে কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে।

                           দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছিল। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ্যাডমিরাল নোসুরা ও মার্কিন বিদেশ সচিব কর্ডেল হাল দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আলোচনায় জাপান দক্ষিণ ইন্দোচীন ছেড়ে দিতে রাজি হলেও চীনের ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ না করার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। ফলে এই আলোচনা ব্যর্থ হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের প্রস্তাব মানেনি। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল জাপান ইন্দোচীন থেকে সৈন্য সরাবে কিন্তু চীন থেকে সৈন্য সরাবে না। কিন্তু এর বিনিময়ে জাপানের ওপর তেল সরবরাহে যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা তুলে নিতে হবে। জাপানের এই প্রস্তাব মানার অর্থ হল মার্কিন নীতির পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ফলে মার্কিনদের সঙ্গে ইংল্যান্ড, হল্যান্ড ও চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট হবে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় উপনীত হতে চায়নি।

                           কূটনৈতিকভাবে যখন জাপানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাপ আলোচনা ব্যর্থ হয়েছিল তখন জাপান মার্কিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল। ১৯৪১ সালের ১লা ডিসেম্বর জাপানি সম্রাট তোজো মন্ত্রীসভার যুদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেছিলেন। জাপান ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে মার্কিন নৌবহরের ওপর আক্রমণ শুরু করেছিল। এই আক্রমণের সাথে সাথে প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। এই যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গ।

 

জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার

তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি

অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
bookstore