Trace the growth of Japanese Imperialism in the Far East.

Nil's Niva
0

 Q. Trace the growth of Japanese Imperialism in the Far East.

                      সাম্রাজ্যবাদী জাপান মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করলে আবার আন্তর্জাতিক রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বিশ্বের দরবারে জাপান খলনায়কে পরিণত হয়েছিল। জাপানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল যে জাপান জাতিসংঘের সনদ ভেঙেছে এবং কেলগ ব্রিয়া ও ওয়াশিংটন সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে মাঞ্চুরিয়া দখল করেছে। বিশ্ব রাজনীতি উত্তপ্ত হলেও বাস্তবে জাপানের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা জাতিসংঘ গ্রহণ করতে পারেনি। স্বাভাবিক কারণে জাপান আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে সম্প্রসারণবাদ নীতি অনুসরণ করেছিল।

                      মাঞ্চুরিয়া দখল করেও জাপানের সাম্রাজ্য ক্ষুধা এতে মেটেনি। জাপানিরা সমগ্র চীনকে পদানত করার চেষ্টা করেছিল। জাপানের আগ্রাসনে ক্ষুব্ধ চীনারা জাপানি পণ্য বয়কট করেছিল। চীনে অবস্থিত জাপানিদের সম্পত্তি লুণ্ঠন করা হয়েছিল। নানকিং, সাংহাই, হ্যানকাও প্রভৃতি অঞ্চলে জাপান-বিরোধী সংঘ গড়ে উঠেছিল।

                      জাপানের তখন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বলশেভিক সোভিয়েত রাশিয়া। ইতিপূর্বে মাঞ্চুরিয়া আক্রমণকে সোভিয়েত রাশিয়া নিন্দা করেছিল। চীনের সাথে সোভিয়েত রাশিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। জাপানের রুশ ভীতির যথার্থ কারণ ছিল। সোভিয়েত রাশিয়া প্রচুর সেনা পূর্ব এশিয়াতে মোতায়েন করেছিল। সোভিয়েত রাশিয়া ১৯৩৫ সালের সপ্তম কমিন্টার্ন কংগ্রেসে ঘোষণা করেছিল যে তার সবচেয়ে বড়ো শত্রু হল দুই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র জার্মানি ও জাপান। তাই জাপান সাম্যবাদী রাশিয়াকে জবাব দেওয়ার জন্য Comintern Pact স্বাক্ষরে বাধ্য হয়েছিল।

                     ১৯৩৭ সালে নতুন উদ্যমে জাপান চীনের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছিল। ১৯৩৭ সালের ৭ জুলাই মার্কো পোলো সেতুতে জাপানি ও চীনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। ১৯৩৮ সালে জাপান ক্যান্টন দখল করেছিল। জাপানি আক্রমণের পরিণতিতে পিকিং, তিয়েনসিন, উহান তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল।

                     ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে জাপান কয়েকটি কারণে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছিল। জাপান সংগত কারণে উপলব্ধি করেছিল। যে পূর্ব এশিয়াতে তার প্রধান শত্রু হল সোভিয়েত রাশিয়া। জাপান জার্মানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সোভিয়েত রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ১৯৩৯ সালে জার্মানি নিজেই সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে একটি অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। স্বাভাবিক কারণে জাপান ক্ষুব্ধ হয়েছিল। জাপান আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিল।

                     দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে জার্মানির সাফল্য ছিল প্রশ্নাতীত। জাপান জার্মানির ওপর অভিমান ভুলে তার সঙ্গে মৈত্রী স্থাপনে আগ্রহী হয়ে পড়েছিল। ১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জার্মানি ও ইতালির সঙ্গে জাপানের এক ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। ১৯৪১ সালের প্রথম দিকে জাপান সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হলে এই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল । জাপান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নতুন মাত্রা পেরেছিল। পার্ল হারবারের ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল।

                   দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে জাপান বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছিল। পার্ল হারবারে মার্কিন নৌশক্তি ও বিমান শক্তির ক্ষতি করে জাপানিরা ফিলিপিনসে জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থারের অধীন মার্কিন বিমানবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। জাপান একে একে ফিলিপিনস, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, ব্রহ্মদেশ, মালয়, সিঙ্গাপুর সমেত দূরপ্রাচ্যের ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেছিল।

                  এইভাবে দেখা যায় যে, মেইজি রেস্টোরেশনের পর নবীন জাপান পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। এই সময় পাশ্চাত্য শক্তির অনুকরণে জাপান সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। সে পরপর দুটি যুদ্ধে চীন ও রাশিয়াকে পরাজিত করে তার শক্তির পরিচয় প্রদান করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তার বিস্তৃতির পথকে সুগম করে দিয়েছিল। জাপান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে তার সাম্রাজ্যকে বহুদুর বাড়িয়েছিল। চীনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জাপান তার ওপর প্রভুত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি করেছিল। কিন্তু এতেও জাপানের রাজ্যলিপ্পা মেটেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান মিত্রশক্তির বিপক্ষে যোগ দিয়েছিল। সাম্রাজ্য বিস্তার করতে গিয়ে সে পরাজিত হয়েছিল। দীর্ঘকাল ধরে ধীরে ধীরে যে বিরাট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল জাপান সবই হারিয়ে ফেলেছিল।

জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার

তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি

অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
bookstore