Discuss the background of the Washington conference of 1921

Nil's Niva
0

Q. Discuss the background of the Washington conference of 1921.

                             প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সাম্রাজ্যবাদী জাপানকে তার সাম্রাজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ করে দিয়েছিল। ইউরোপীয় পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে দূরপ্রাচ্যের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে স্বদেশে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছিল। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছিল জাপান। সে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পেয়েছিল।

                            জাপান চীনের ওপর প্রভুত্ব স্থাপনের বাসনায় ১৯১৫ সালে চীনের কাছে ২১ দফা দাবি পূরণের জন্য পাঠিয়েছিল। চীন তার অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছিল। চীনের কাছ থেকে জাপান বহুবিধ আর্থিক সুযোগ সুবিধা লাভ করেছিল। প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে জাপান যোগ দিয়ে সে বিশ্বের প্রথম সারির রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছিল। প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে চীনের দাবিকে অগ্রাহ্য করে জাপানের দাবিকে বেশি গুরুত্ব বা মূল্য দেওয়া হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরও জাপানের সাম্রাজ্যবাদী কার্যকলাপ সমানে চলেছিল। বিশেষ করে চীনে ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তার প্রভাব যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। সমগ্র পূর্ব এশিয়া জাপানের প্রভাব পড়েছিল জাপানের এই সীমাহীন অগ্রগতিকে বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না। কারণ ১৯০২ সালের সম্পাদিত ইঙ্গ-জাপ চুক্তি দ্বারা জাপান বলীয়ান ছিল।

                            প্রথমদিকে জাপানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মদত দিয়েছিল। কিন্তু জাপানের সীমাহীন আগ্রাসনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করেনি। জাপানের অগ্রগতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শঙ্কিত হয়েছিল। বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় মার্কিনদের স্বার্থ জড়িত ছিল। মাঞ্চুরিয়ায় মার্কিন পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জাপান বাধা সৃষ্টি করেছিল। জাপানিদের বিরুদ্ধে আমেরিকায় অনেক বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯০৮ সালে জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাতে জাপান সরকার অভিবাসনের ব্যাপারে সহযোগিতা করার কথা বলেছিল। আমেরিকানদের বিরুদ্ধে জাপানিরা সরব হয়েছিল। বর্ণবৈষম্যের জন্য এই দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। অভিবাসন সমস্যায় কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও বিব্রত হয়েছিল। ইঙ্গ-জাপ চুক্তিকে বাতিল করার জন্য কানাডা সরকার ইংল্যান্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। ১৯১৭ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল লানশিং-ইশাই চুক্তি। কিন্তু এই চুক্তির দ্বারা দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। আমেরিকা অনুভব করেছিল জাপানের অগ্রগতির মূলে ছিল ১৯০২ সালের ইঙ্গ-জাপ চুক্তি। সেজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল যে কোনো উপায়ে এই চুক্তিকে বাতিল করতে।

                              তাই এইসব সমস্যার সমাধান বিশেষ করে বৃহৎ দেশগুলোর নৌশক্তির পরিমাণ নির্ধারণ ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে বিভিন্ন শক্তিবর্গের স্বার্থ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের মীমাংসার জন্য আমেরিকা উদ্যোগ নিয়েছিল। এই উদ্দেশ্যে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি হার্ডিং ১৯২১ সালের ১২ নভেম্বর একটি সম্মেলন ওয়াশিংটনে আহ্বান করেন। এই সম্মেলনে ১৯২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল। প্রকৃতপক্ষে এই সম্মেলন ছিল জাপানের শক্তির ডানা ছাঁটা সম্মেলন। ভিনাকের মতে দূরপ্রাচ্যের আধুনিক ইতিহাস ওয়াশিংটন সম্মেলনের পটভূমিকা তৈরি করেছিল। এই সম্মেলনে আমেরিকা সহ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান, চীন, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, ইতালি ও পর্তুগাল অংশগ্রহণ করেছিল।

জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার

তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি

অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
bookstore