Q. Give an account of the cultural changes introduces in Japan after Restoration.
§ মেইজি যুগের সংস্কৃতি:
সংস্কৃতি যে কোনো জাতির
মেরুদণ্ড। সংস্কৃতি ছাড়া কোনো জাতি বাঁচতে পারে না। জাপানে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি ছিল।
কমোডর পেরির অভিযান জাপানের রাজনৈতিক জীবনে পরিবর্তন এনেছিল। টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের
পতন ও মেইজি রেস্টোরেশন জাপানের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিল।
মেইজি শাসকেরা জাপানকে একটি সুস্থ সংস্কৃতি সম্পন্ন দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
মেইজি যুগের সাহিত্য ইউরোপীয়
সাহিত্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সাহিত্যের রসদ জাপানি সাহিত্যে নতুন প্রাণসঞ্চার
করেছিল। ইউরোপীয় সাহিত্যরস জাপানের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিল।
জাপানের নব্য সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ
লেখক ছিলেন ফুতাবাতে সিমাই । নতুন জাপানি সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য উপন্যাস “ভাসমান
মেঘ”তাঁর লেখা। রুশ সাহিত্যিক
তুর্গেনেভের দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এই উপন্যাসের নায়ক হলেন বুনজো। এই
চরিত্রের সঙ্গে ঐতিহ্যগত জাপানি কথা সাহিত্যের যোদ্ধা প্রেমিক নায়কদের কোনো মিল ছিল
না।
ফুতাবাতে সিমাই রুশ সাহিত্যকে তাঁর রচনার উৎস যেমন
করেছিলেন তেমনি মোরি ও গাই জার্মান সাহিত্যকে তাঁর রচনার প্রেরণা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।
মোরি ওগাই জার্মানিতে শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৮৯ সালে তিনি জার্মান কবিতা জাপানি ভাষায়
অনুবাদ করেন। ১৮৯০ সালে তিনি রচনা করেছিলেন “নর্তকী”
নামক
উপন্যাস।
মেইজি যুগের আর এক বিখ্যাত
লেখক হলেন নাতসুমে সোসেকি । তিনি ইংরেজি সাহিত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তাঁর বিখ্যাত
উপন্যাস হল ‘আমি এক বিড়াল' । এই উপন্যাসে এক বিড়ালের দৃষ্টিতে তিনি পৃথিবীকে দেখেছিলেন।
এই উপন্যাসটি ছিল ব্যঙ্গাত্মক। নাগাই কাফুর 'সুমিদা নদী' উপন্যাসে প্রাচীন জাপানের
নারীদের জীবনের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছিল।
মেইজি যুগের উপন্যাসের ধারা
পরবর্তীকালেও বজায় ছিল। জাপানিদের আত্মবিশ্বাস উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছিল। নবীন আত্মপ্রত্যয়শীল
জাপানের পরিপূর্ণ চিত্র উপন্যাসগুলোতে স্থান পেয়েছিল।
মেইজি যুগ জাপানের সংগীত চর্চার
ওপরও প্রভাব ফেলেছিল। মেইজি নেতারা বোস্টনের এক সংগীত শিক্ষককে স্কুলে সংগীত শিক্ষা
প্রবর্তনের জন্য নিয়োগ করেছিলেন। ১৮৮১ সালে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রথম সংগীত
গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। পশ্চিমি সুরের সঙ্গে জাপানি কবিতার সমন্বয় ছিল এই গ্রন্থগুলি।
জাপানের প্রচলিত গানকে পশ্চিমি সুরে পরিবেশন করা হয়েছিল। সংগীতের ক্ষেত্রে প্রাচ্য
পাশ্চাত্যের এক সার্থক সমন্বয় হয়েছিল।
প্রাচ্যের শিল্পকলার অন্যতম
মহান অভিব্যক্তি জাপানের চিত্রকলা। জাপানের শিল্প প্রতিভা চিত্রকলার মাধ্যমে তার সৌন্দর্যবোধকে
সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এবং জাপানের চিত্রকলা তার সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে গভীরভাবে
জড়িত। মেইজি যুগে জাপানের চিত্রকলা ইউরোপের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। মেইজি সময়ের
ছবিগুলি ছিল নান্দনিক বিচারে সংকর জাতীয়। মূলত জল রঙই হল জাপানের চিত্রকলার প্রধান
বিষয় ।
জাপানি সংস্কৃতির অঙ্গ হল নাটক।
জাপানের নাটকের ইতিহাস কয়েকটি ঘরানা বা পরম্পরাগত রীতির সমাহার। এই রীতিগুলির মধ্যে
সবচেয়ে বিখ্যাত নো, তোওয়াকা, কাবুকি, কিয়াগেন ও পুতুল নাটক বুনরাকু। জাপানে নাটক
খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু মেইজি যুগে এই ঐতিহ্যগত নাটকের গুরুত্ব কমে গিয়েছিল। মেইজি
শাসকেরা এ ধরনের নাট্য বিষয়কে পছন্দ করেননি। নাট্য সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়।
পশ্চিমি ভাবধারাকে জাপানি নাটকে স্থান দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমি ভাবধারা দ্বারা লালিত
নব্য জাপান সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তাদের অনুসরণ করেছিল।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।