Q. Give an account of the economic changes introduces in Japan after Restoration.
§ মেইজি যুগের অর্থনীতি:
মেইজি রেস্টোরেশনের পর জাপানের
নায়কদের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জাপানকে এক দ্রুত শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করা।
তাঁরা সঠিকভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে টোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের পতন হয়েছে অর্থনৈতিক
অবক্ষয়ের জন্য। টোকুগাওয়া শোগুন যুগের অর্থনীতি ছিল কৃষিভিত্তিক। নব্য জাপানি নেতারা
অনুভব করেছিলেন পাশ্চাত্যের সমকক্ষতা অর্জন করতে হলে জাপানকে পাশ্চাত্যের মতো শিল্পায়ন
ঘটাতে হবে। তাই মেইজি সরকার আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে জাপানকে এক শক্তিশালী শিল্পনির্ভর
দেশে পরিণত করার উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।
মেইজি সরকার উপলব্ধি করেছিল পরিবহন
ব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে শিল্পায়ন সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক বাধাকে দূর করে
মেইজি সরকার পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিসাধন করেছিল। রেলপথের ওপর সরকার গুরুত্ব দিয়েছিল।
শিল্প স্থাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ
তৈরি হয়েছিল বলে জাপানে শিল্পায়নের প্রক্রিয়া সহজ হয়েছিল। মেইজি সরকার শিল্পায়নকে
গুরুত্ব দিয়েছিল। মেইজি সরকার নাগাসাকি, ইউকোসুক ও কোবো অঞ্চলে তিনটি আরও জাহাজ নির্মাণ
কারখানা স্থাপন করেছিল। বিদেশ থেকে সমুদ্রবাহী জাহাজ কেনা হয়েছিল। রুশ-জাপান যুদ্ধে
জাপান সাফল্য লাভ করেছিল। এই যুদ্ধের পর থেকে জাপানে জাহাজ শিল্পের অভাবনীয় উন্নতি
হয়েছিল। বাণিজ্যের উন্নতিও এর সঙ্গে জড়িত ছিল। কামান, রাইফেল, গোলাবারুদের কারখানা
জাপানে গড়ে উঠেছিল। এইগুলিতে বিদেশি প্রযুক্তি কার্যকর ছিল। জাপানের সরকার সামরিক
খাতে ব্যয় বাড়িয়েছিল।
মেইজি সরকার খনি শিল্প বিকাশের দিকে
গুরুত্ব দিয়েছিল। সরকার দেশের সমস্ত খনিজ সম্পদকে যেমন সোনা, রূপা, তামা, লোহা, কয়লাকে
জাতীয় সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করেছিল। খনিজ সম্পদের উত্তোলনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র ছিল কুৎসু ও হোককাইডো। এই এলাকা থেকে যে কয়লা উৎপাদিত হত তা
যন্ত্রশিল্পের চাহিদাকে মিটিয়েছিল। নতুন নতুন অনেক কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
খনিজ তেল নিষ্কাশন শিল্পেও জাপান গুরুত্ব
দিয়েছিল। ১৮৮৮ সালে Japan Oil Company প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কোম্পানি তেল উত্তোলনের
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জাপানের শিল্পায়নের গতি বেড়েছিল। ঊনবিংশ
শতকের শেষের দিকে জাপানে সব ধরনের বড়ো শিল্প গড়ে উঠেছিল।
জাপানের অন্যতম বড়ো শিল্পোদ্যোগ ছিল
বস্ত্রশিল্প। বস্ত্রশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব জাপানে ছিল না। তুলো
ও কাঁচা রেশম প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে জাপানে বস্ত্রশিল্প গড়ে
উঠেছিল। সরকার ঋণের ব্যবস্থা করেছিল। বস্ত্রশিল্পের উপযোগী প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি
ও প্রযুক্তিবিদদের বিদেশ থেকে আনা হয়েছিল।
মেইজি যুগে
মাঝারি ও ছোটো শিল্পেরও বিকাশ হয়েছিল। ১৮৭০ সালে জাপানে শিল্প বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এই বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন ইতো হিরোবুমি। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় জাপানে মাঝারি শিল্পের
বিকাশ হয়েছিল। যন্ত্রপাতি নির্মাণের কারখানা, সিমেন্ট কারখানা, সাদা ইটের কারখানা,
কাঁচ শিল্প, ব্লিচিং পাউডার কারখানা সহ বহু রাসায়নিক শিল্প স্থাপিত হয়েছিল। বেসরকারিভাবে
দেশলাই, কাগজ, ধাতব শিল্পের কারখানা গড়ে উঠেছিল।
মেইজি যুগে সরকারের সফল নেতৃত্ব এবং সরকারি ও বেসরকারি
উদ্যোগের সমন্বয়ে জাপান অতি দ্রুত একটি শিল্পোন্নত আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল।
প্রথম দিকে জাপানে রপ্তানির থেকে আমদানি বেশি হয়েছিল। বাণিজ্যিক ভারসাম্য জাপানের
অনুকূলে ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। জাপানের শিল্প বিকাশ বাণিজ্যের
গতিকে বদলে দিয়েছিল। জাপানের পণ্য বিদেশের বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করেছিল।
মুদ্রার
ক্ষেত্রেও মেইজি যুগে সংস্কার হয়েছিল। দশমিক মুদ্রা পদ্ধতি প্রচলিত করা হয়েছিল। অর্থনৈতিক
বনিয়াদকে সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে ১৮৭৩ সালে National Bank স্থাপন করা হয়েছিল। ব্যাংকের
পাশাপাশি ডাকঘরেও সঞ্চয় বেড়েছিল। ১৮৮১ সরকারের নিয়ন্ত্রণে Bank of Japan প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিল। এই ব্যাংক নোট ছাপানোর অধিকার পেয়েছিল। ব্যাংক ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে বৈদেশিক
বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছিল।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।