Q- League of Nations.
Ø জাতিসংঘ বা লিগ অব নেশনস্:
ভার্সাইয়ে
উইলসন ব্যর্থ হয়েছিলেন, কিন্তু সফল হয়েছিলেন জাতিসংঘ স্থাপনে। আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটির
প্রতিষ্ঠায় উইলসন একা ছিলেন না। অনেক স্থিতধী মানুষই বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই যুদ্ধ
সাম্রাজ্যবাদ ও ধনতন্ত্রকেই আঘাত করবে বেশি, পথ করে দেবে সমাজতন্ত্রের। ১৯১৭-র রুশ
বিপ্লব হাতের কাছেই প্রমাণ হিসেবে ছিল। কাজেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধই সাম্রাজ্যবাদী অন্তর্কলহ
ভুলে পুঁজিপন্থী শান্তি অর্জনের লড়াইয়ে পরিণত, উইলসনের এই মনোভাবের শরিক অনেকেই হয়েছিলেন।
উইলসনের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি কর্নেল হাইসের কাছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী এডওয়ার্ড
গ্রে বলেছিলেন যে, একটি স্থায়ী আন্তর্জাতিক সংগঠন থাকলে এই আত্মঘাতী বিশ্বযুদ্ধ বাধত
না। লক্ষণীয়, স্থায়ী আন্তঃরাষ্ট্রিক ধারণা এই প্রথম এতটা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রনেতাদের
মনে আন্তর্জাতিক ধারণার সঙ্গে মিশে যায়। আমেরিকার লাঙি, ইংল্যান্ডের রবার্ট সিসিল বা
জেনারেল স্মাট্স, ফ্রান্সের লিও বোর্ডে -এঁরা কেউই আন্তঃরাষ্ট্রিক সংগঠনের কথা বলেননি,
বলেছিলেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কথা।
জাতিসংঘের
সনদে এই দুটোকেই প্রধান আদর্শ ও লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই আদর্শে প্রথমে
শামিল হয় ৪৩টি রাষ্ট্র, বাদ পড়ে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া আর বিপ্লবী প্রজাতান্ত্রিক চিন।
পরে ১৯২৬-এ জার্মানি এবং ১৯৩৪-এ সোভিয়েত রাশিয়াও যোগ দেয়। ১৯২০ সালের জানুয়ারি মাসে
প্রথম লিগের মহাপরিষদ বসে জেনেভায়। এই অ্যাসেম্বলি বা মহাপরিষদের বসার কথা বছরে একবার।
সারা বছর কাজ চালাত কাউন্সিল, যার সদস্য ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান। জাতিসংঘের
মূল দপ্তরে এগারোটি বিভাগ ছিল। যোগাযোগ, জনস্বাস্থ্য, নিরস্ত্রীকরণ, মাদক চলাচল নিয়ন্ত্রণ,
ম্যান্ডেট ব্যবস্থার তত্ত্বাবধান-ইত্যাদি অনেকগুলো বিষয় দেখাশোনা করার জন্য এই সব দপ্তর।
আর ছিল আন্তর্জাতিক আইনের রক্ষক আন্তর্জাতিক বিচারশালা আর আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা,
যার উদ্দেশ্য ছিল দুনিয়া জুড়ে শ্রমিক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।