টীকা লেখো: 'ভারতবর্ষ'।
*****************************************
উত্তরঃ 'ভারতবর্ষ' বা 'ভারত' বিশ্বের এক প্রাচীনতম দেশ। এখানে 'ভারতবর্ষ' বলতে 1947 খ্রিস্টাব্দের অবিভক্ত ভারত তথা ভারতীয় উপমহাদেশকে বোঝানো হয়েছে, যার আয়তন ছিল 18,00,000 বর্গমাইল। কথিত আছে যে প্রাচীনকালে ভরত নামে এক রাজা ছিল, যার নাম অনুসারে দেশের নাম হয় 'ভারতবর্ষ' এবং ভারতবাসীকে বলা হয় 'ভরতের সন্তান'। প্রাচীন সাহিত্য রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণে ভারতকে 'দেবভূমি', 'পুণ্যভূমি' বলা হত। আধুনিক ঐতিহাসিক ড. রামশরণ শর্মা বলেন যে, ভরত নামে এক প্রাচীন উপজাতির নামানুসারে এই দেশের নাম হয় ভারতবর্ষ এবং ভারতবর্ষের মানুষকে বলা হয় 'ভরত সন্ততি'। প্রাচীন ভারতের বিশ্বতত্ত্ববিদগণ সমগ্র বিশ্বকে সাতটি মহাদ্বীপ-এ ভাগ করেন, তার মধ্যে অন্যতম হল জম্বুদ্বীপ। জম্বুদ্বীপ আবার কয়েকটি বর্ষ বা দ্বীপ নিয়ে গঠিত এবং এর মধ্যে একটি হল 'ভারতবর্ষ'। অশোকের শিলালিপি, বৌদ্ধগ্রন্থ, মহাভারত ও পুরাণে জম্বুদ্বীপের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে বিদেশিদের কাছে ভারত 'ইন্ডিয়া' নামে পরিচিত। এই নামটি এসেছে সংস্কৃত 'সিন্ধু' শব্দ থেকে। বিদেশিরা সিন্ধু নদের তীরবর্তী ভারতীয়দের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়েছিল। প্রাচীন পারসিকরা 'সিন্ধু'-কে উচ্চারণ করত 'হিন্দু'। এ থেকেই ভারতীয়দের কালক্রমে নাম হয় 'হিন্দু' এবং দেশের নাম 'হিন্দুস্তান'। আবার গ্রিক ও রোমানরা 'হিন্দু'-কে উচ্চারণ করত 'ইন্দুস' বলে। প্রাচীন এই ইন্দুস (Indus) থেকেই আধুনিক 'ইন্ডিয়া' নামের উৎপত্তি।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।