Q: Define Air Polllution. Discuss The Various Source of Air Pollution
প্রশ্নঃ বায়ুদূষণের সংজ্ঞা দাও। বায়ুদূষণের বিভিন্ন উৎস আলোচনা করো।
উত্তর-
- বায়ুদূষণের সংজ্ঞা-
জীবের জন্ম, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ বায়ু। যদি এই বিশুদ্ধ বায়ুতে অবাঞ্ছিত পদার্থের অনুপ্রবেশ সঞ্চয় ঘটে যার প্রভাবে মানুষ তথা উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীকুলের ওপর কীরূপ প্রভাব পড়ে, তাকে বায়ুদূষণ বলা হয়। অর্থাৎ, বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবিক কারণে সৃষ্ট কঠিন বর্জ্য পদার্থ অথবা অপ্রয়োজনীয় বস্তুর ঘনত্ব বাড়িতে যদি স্বাভাবিকের তুলনায় কম বা বেশি পরিমাণে সৃষ্ট হয় এবং তার কুপ্রভাব সংশ্লিষ্ট জীবকূলের জীবনধারণ পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে, তাকে বায়ুদূষণ বলা হয়।
- বায়ুদূষণের বিভিন্ন উৎস-
বায়ুদূষণের বিভিন্ন উৎসগুলিকে মূলত সাতটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল-
[i] প্রাকৃতিক উৎস- যেমন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতজাত দূষকপদার্থ সমূহ, দাবানলের ফলে দূষক গ্যাসের প্রকৃতিতে মিশ্রণ প্রভৃতি বায়ুমণ্ডলকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে থাকে।
[ii] যানবাহন ও কলকারখানার পরিত্যক্ত ধোঁয়া- যানবাহনের পরিত্যক্ত ধোঁয়ার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও হাইড্রোকার্বন থাকে। কলকারখানার কয়লা ও খনিজ তেলের দহনের ফলে তা প্রচুর পরিমাণে দূষিত বায়ু সৃষ্টি করে থাকে যাতে থাকা সালফার ডাইঅক্সাইড বায়ুকে ব্যাপকভাবে দূষিত করে থাকে। ধাতু পরিশোধনাগার থেকে ক্লোরাইড নির্গত হওয়া বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
[iii] গৃহস্থ জ্বালানি- গৃহস্থালির জ্বালানির ব্যবহৃত সামগ্রী দহনের ফলে কার্বন মনোক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। গৃহস্থালির উনুনের ধোঁয়াতে আবার নাইট্রোজেন অক্সাইড সহ অন্যান্য দূষক পদার্থ থাকে।
[iv] ধোঁয়াশা- সাধারণত পৌর এলাকা ও শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান সঙ্গে মিশ্রণের ফলে কালো ধোঁয়া ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলে দেখা যায়, তাকে ধোঁয়াশা বলে।
কলকারখানার ও যানবাহনের ধোঁয়ার সঙ্গে থাকা বিষাক্ত গ্যাস, যেমন- নাইট্রোজেন অক্সাইড, বিভিন্ন হাইড্রোকার্বন, সালফার ডাইঅক্সাইড প্রভৃতি বায়ুর সঙ্গে মিশে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে সালফিউরিক ও আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা দুটি গুরুত্বপূর্ণ।
[v] কুয়াশা ও ধূলিকণা- এই দুটি বায়ুমণ্ডলীয় উপাদান পরিবেশকে নানাভাবে দূষিত করে। এদের সঙ্গে মিশে থাকা বিভিন্ন ধরনের জীবাণু উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলে বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের সৃষ্টি করে।
[vi] আগাছানাশক ও কীটনাশক- ফসলের খেতে বা বাগানে আগাছা বিনাশ করার জন্য বিভিন্ন আগাছানাশক ব্যবহার করা হয় ও কৃষিজমির ফসলকে কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, যেমন- ফলিডল, DDT, অলড্রিন প্রভৃতির প্রয়োগ বায়ুমণ্ডলে পরোক্ষভাবে মিশ্রিত হয়ে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হয়।
[vii] তেজস্ক্রিয় দূষক- বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় উপাদান, যেমন- ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম প্রভৃতি থেকে উত্তোলনের সময় বিভিন্ন দূষক পদার্থ বায়ুমণ্ডলের দূষণ ঘটায়। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পারমাণবিক শক্তির উৎপাদন কেন্দ্রগুলির বর্জ্য পদার্থ তেজস্ক্রিয় দূষণের প্রধান কারণ। বিভিন্ন পারমাণবিক বিস্ফোরণ বায়ুমণ্ডলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিঃসরণ করে বায়ুদূষণ ঘটাতে সাহায্য করে।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।