প্রশ্ন- তপশিলি জাতির সমস্যা/অভিজ্ঞতা আলোচনা করো।
উত্তরঃ স্বাধীনতার পর থেকে তপশিলি জাতিদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে তাদের শিক্ষাও যথেষ্ট প্রসারলাভ করেছে। কিন্তু উপযুক্ত সুযোগসুবিধা সত্ত্বেও তপশিলি জাতির বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেগুলি হল-
1. প্রাকৃতিকভাবে অগম্য অঞ্চলে বসবাস করার জন্য ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে এদের উন্নয়ন বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
2. সামাজিক অবস্থানগত দিক থেকে এই শ্রেণির মানুষরা কুসংস্কারচ্ছন্ন। ফলে যে সমস্ত তপশিলি ব্যক্তিরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে সার্থকভাবে অভিযোজন করতে পারছে না। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন ভেঙে যাচ্ছে এবং তাদের গোষ্ঠীয় অন্যান্যদের শিক্ষার আওতায় যে আনবে সেই উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হচ্ছে।
3. চাকরির ক্ষেত্রে তপশিলি জাতিদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কর্মক্ষেত্রে তপশিলি জাতির মধ্যে থেকে খুব নিম্নমানের ব্যক্তি নিয়োগ হচ্ছে। সেদিক থেকে সাধারণ শ্রেণিভুক্ত অনেক প্রতিভাবান সুযোগ পাচ্ছে না।
4. বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ICT নির্ভর। সেহেতু শিক্ষার্থীদের Computer, Electronic Media ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকার SC-দের আর্থিক ব্যবস্থা করলেও, সেই সামান্য অর্থে এই প্রয়োজনটুকু তাদের সম্পূর্ণ হয় না। ফলে SC শিক্ষার্থীরা General শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে।
5. তপশিলি জাতিভুক্ত SC শিক্ষার্থীদের একটি বড়ো সমস্যা-তারা তাদের পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহ পায় না। এর পেছনে কিছু Factors কাজ করে, যেমন-পরিবারের আর্থিক অবস্থা, অনীহা ইত্যাদি।
6. বর্তমানে তপশিলি জাতিভুক্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এখন চাকরির ক্ষেত্রে নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতা বেড়ে চলেছে।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।