Q. Write a note on the principles and work of the Vienna Congress.
(ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি আলোচনা করো।)
*****************************************
§ ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিঃ
ভিয়েনা-সম্মেলনের
সামনে উত্থাপিত সমস্যা সংখ্যায় ছিল যেমন অসংখ্য তেমনি তাদের চরিত্র ছিল বিচিত্র ও
গুরুত্বপূর্ণ। সদস্যরা সমস্যাগুলিকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী প্রথমে ভাগ করে নেন
এবং তাদের সমাধানে নিয়োজিত হন। যেমন—(১)
নেপোলিয়ন কর্তৃক বিজিত রাষ্ট্রগুলিকে নতুন করে সংগঠিত করা, (২) নেপোলিয়ন কর্তৃক বিতাড়িত
পুরাতন রাজবংশগুলিকে পুনর্বাসিত করা, (৩) ফ্রান্স সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ
করা, (৪) পোল্যাণ্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা, (৫) নেপোলিয়ন - বিরোধী চুক্তিগুলিকে মর্যাদা
দেওয়া এবং (৬) ফরাসী-বিপ্লবের ভাবধারায় যাতে পুনরায় ইউরোপে বিপ্লবের আগুন না ছড়ায়,
তার ব্যবস্থা করা।
§ তিনটি নীতিঃ
উপরিলিখিত
সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ তিনটি নীতি গ্রহন করেন। এগুলি হল—
'ন্যায্য অধিকার' নীতি, ক্ষতিপূরণ' নীতি এবং শক্তিসাম্য' নীতি। এছাড়া আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার নীতিও গৃহীত হয় ।
§ ন্যায্য অধিকার-নীতিঃ
ন্যায্য অধিকার-নীতি
অনুসারে বিপ্লব ও নেপোলিয়নীয় যুগে বিতাড়িত বৈধ রাজবংশগুলিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা
হয়। ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন বুরবোঁবংশের অষ্টাদশ লুই । স্পেন, সিসিলি ও নেপলস-এ
বুরবোঁবংশীয় রাজারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হন। হল্যাণ্ড-এর সিংহাসন ফিরিয়ে দেওয়া হয় অরেঞ্জবংশকে;
সার্ডিনিয়া, পিয়েডমন্টে স্যাভয় রাজবংশ পুনঃস্থাপিত হয়। পোপ তাঁর রাজ্য ফিরে পান
এবং জার্মানীতে পুনরায় অস্ট্রিয়ার আধিপত্য স্থাপন করা হয়।
§ ক্ষতিপূরণ-নীতিঃ
ক্ষতিপূরণ-নীতি
অনুসারে অস্ট্রিয়া লাভ করে উত্তর-ইতালীর লোম্বার্ডি ও ভেনেসিয়া প্রদেশ এবং টাইরল,
সালজবার্গ ও ইলিরিয়া অঞ্চল। প্রাশিয়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে পায় পোজেন, থর্ন, ডানজিগ
ও স্যাক্সনির উত্তরাংশ। পশ্চিম পোমেরেনিয়া এবং রাইন নদীর তীরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্রদেশগুলিও
প্রাশিয়া লাভ করে। রাশিয়া লাভ করে পোজেন ও থর্ন বাদে গ্র্যাণ্ড ডাচি অব্ ওয়ারশ-এর
অধিকাংশ অঞ্চল এবং ফিল্যাণ্ড ও বেসারাবিয়ার অন্যান্য অঞ্চল। এর ফলে পশ্চিম-ইউরোপে
রুশ-প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যায়। ইংল্যাণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে লাভ করে সিংহল,
কেপ কলোনী, পশ্চিম-ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, মাল্টা, হ্যালিগোলান্ড, আইওনীয়ন দ্বীপপুঞ্জ
প্রভৃতি স্থান। ফলে ইংল্যাণ্ডের নৌ-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করে। সুইডেন প্রাশিয়াকে পোমেরেনিয়া
দানের পরিবর্তে নরওয়ে লাভ করে।
§ শক্তিসাম্য-নীতিঃ
ভিয়েনা-সম্মেলনে
শক্তিসাম্য-নীতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফ্রান্স যাতে ভবিষ্যতে ইউরোপের অন্য রাষ্ট্রকে
আক্রমণ করতে না-পারে বা কোন একটি দেশ অধিক শক্তি সঞ্চয় করে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না-করে,
সেদিকে নজর রেখেই এই নীতি রচিত হয়েছিল। বলা যেতে পারে, ভিয়েনা-সম্মেলনের প্রধান সিদ্ধান্তসমূহ
শক্তিসাম্যের ধারণা থেকেই উদ্ভূত। এই নীতির প্রয়োগ করে – (১) ফ্রান্সের সীমান্তকে
বিপ্লব পূর্ববর্তী রেখায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। (২) ফ্রান্সে মিত্রবাহিনীর সৈন্য মোতায়েন
করা হয়। (৩) ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বে হল্যাণ্ডকে শক্তিশালী করা হয়। (৪) ফ্রান্সের
পূর্ব-সীমান্তে রাইন অঞ্চলকে জার্মানীর সাথে যুক্ত করে পূর্বদিকে ফ্রান্সের অগ্রগতি
রোধ করা হয়। (৫) সার্ডিনিয়ার সাথে জেনোয়াকে যুক্ত করে দক্ষিণদিকে ফ্রান্সের অগ্রগতি
রোধ করা হয়। (৬)দক্ষিণ-পূর্বে সুইজারল্যাণ্ডের সাথে ফ্রান্সের তিনটি জেলাকে যুক্ত
করা হয়। এইভাবে ফ্রান্সের চারদিকে একটি রাষ্ট্র-শৃঙ্খল সৃষ্টি করা হয়।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমার উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই
আমাদের প্রতিশ্রুতি
6295916282; 7076398606
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।