DSC Education
CBCS 4th Semester
প্রশ্নঃ নবোদয় বিদ্যালয়
বলতে কী বোঝ? নবোদয় বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য কী?
নবোদয় বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
প্রশ্ন মানঃ১২
নবোদয় বিদ্যালয়ঃ
জাতীয় শিক্ষানীতি (১৯৮৬ খ্রি.)-তে মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদর্শ স্কুল বা নবোদয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়।
নবোদয় বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যঃ
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, বিশেষ করে গ্রামের প্রতিভাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের একত্রে বেঁচে থাকার শিক্ষা দেওয়া, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা ছিল এই বিদ্যালয় শিক্ষার উদ্দেশ্য।
নবোদয় বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্যঃ
(১)ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীঃ এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে বলে স্থির করা হয়।
(২)ভরতির পরীক্ষা ব্যবস্থাঃ নবোদয় বিদ্যালয়ে ভরতির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে উন্নত মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভরতির সুযোগ পাবে। প্রতি ব্লকে এই পরীক্ষা হবে।
(৩)আবাসিক ও অবৈতনিকঃ এই বিদ্যালয় গুলো হবে আবাসিক ও অবৈতনিক। শিক্ষার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। এ ছাড়া পোশাক-পরিচ্ছদ ও খাওয়ার খরচ সরকার থেকে দেওয়া হবে।
(৪)আসন সংরক্ষিতঃ শহরের ছেলে মেয়েদের ২০ শতাংশের বেশি এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করা যাবে না। মেয়েদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অনুন্নত জাতি, উপজাতির ছেলেমেয়েদের জন্যও আসন সংরক্ষিত থাকবে। যে জেলায় অনুন্নত সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি, সেখানে সেই হারে আসন সংরক্ষণ করা হবে।
(৫)ভাষা শিখনঃ প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিনটি ভাষা শিখতে হবে। যথা— (a) আঞ্চলিক বা মাতৃভাষা, (b) হিন্দি এবং ইংরেজি।
(৬)শিক্ষার্থীর ম্থানান্তরকরণঃ প্রতি বিদ্যালয় থেকে অষ্টম অথবা নবম শ্রেণির ২০% থেকে ৩০% শিক্ষার্থী অন্য ভাষাভাষী রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। বাংলা থেকে কোনো ছাত্রকে হিন্দি ভাষাভাষী রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলা পড়তে হবে। অন্যদিকে হিন্দিভাষী অঞ্চল থেকে বাংলায় নিয়ে যাওয়া হলে, সেই শিক্ষার্থীকেও বাংলা পড়তে হবে।
(৭)পাঠক্রমঃ নবোদয় বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে থাকবে—কলা, বিজ্ঞান, অঙ্ক, সমাজবিদ্যা, শারীরশিক্ষা, উৎপাদনাত্মক কাজ ইত্যাদি।
(৮)শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থাঃ শিক্ষণ পদ্ধতির মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক শিক্ষা সহায়ক উপকরণের ব্যবস্থা থাকবে। চক, ডাস্টার, চার্ট, মডেল, মানচিত্র ছাড়া থাকবে টিভি, রেডিয়ানে, টেপরেকর্ডার, কম্পিউটার ইত্যাদি।
(৯)শিক্ষক নিয়োগঃ এই বিদ্যালয়ে সর্বভারতীয় ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
(১০)শিক্ষণ পদ্ধতিঃ আধুনিক উপকরণ সহযোগে ছাত্রদের পড়ানো হবে। বক্তৃতার পরিবর্তে বেশি করে আলোচনা পদ্ধতির উপর জোর দিতে হবে।
(১১)মূল্যায়ন ব্যবস্থাঃ এই বিদ্যালয়ে সারা বছর ধরে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।
(১২)পরিচালন ব্যবস্থাঃ স্কুলগুলি কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (CBSE) দ্বারা পরিচালিত হবে। এজন্য একটি নতুন বোর্ড স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
(১৩)শিক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার এবং প্রয়োগঃ এই বিদ্যালয়ে উন্নত ধরনের শিক্ষণ পদ্ধতি আবিষ্কার এবং তার প্রয়োগের সুযোগ থাকবে।
(১৪)শিক্ষার মাধ্যমঃ নবম শ্রেণি থেকে শিক্ষার মাধ্যম হবে হিন্দি অথবা ইংরেজি।
(১৫)ধারাবাহিক মূল্যায়নঃ এই বিদ্যালয়ে সারা বছর ধরে মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।