প্রশ্নঃ যোগশিক্ষার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
উত্তরঃ
যোগ শিক্ষার বৈশিষ্ট্যঃ
(1) জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া: শিক্ষা হল একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া অর্থাৎ, জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত চলতে থাকে। জন্মের পর থেকে নিয়ন্ত্রিত, অনিয়ন্ত্রিত এবং প্রথামুক্ত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু অভিজ্ঞতা লাভ করে।
(2) গতিশীল প্রক্রিয়া: শিক্ষা একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। শিক্ষার প্রকৃতি সময়, স্থান এবং সমাজের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়ে চলেছে।
(3) ব্যক্তির বিকাশ: শিক্ষা হল ব্যক্তি বিকাশের প্রক্রিয়া। শিক্ষা ব্যক্তির সার্বিক অর্থাৎ দৈহিক, মানসিক, প্রক্ষোভিক, সামাজিক, নৈতিক, আধ্যাত্মিক, সৌন্দর্যবোধ এবং অর্থনৈতিক বিকাশের প্রক্রিয়া।
(4) শিশুর জন্মগত ক্ষমতার বিকাশ: শিক্ষা শিশুর জন্মগত ক্ষমতা বিকাশের প্রক্রিয়া। এই ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে বাহ্যিক পরিবেশের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। শিক্ষাবিদ পেস্তালোৎসি এবং ফ্রয়েবেল শিক্ষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসাবে শিশুর জন্মগত ক্ষমতা বিকাশের কথা বলেছেন।
(6) আচরণের পুনর্গঠন: শিক্ষা শিশুর আচরণ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া। শিক্ষা হল এমন এক বিশেষ প্রক্রিয়া যার মধ্যে এবং যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, চরিত্র এবং আচরণের পরিবর্তন ঘটে।
(7) অভিজ্ঞতার উন্নয়ন: শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল অভিজ্ঞতার উন্নয়ন। সাধারণ ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জীবনের লক্ষ্য কেন্দ্র করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে। অভিজ্ঞতাই ব্যক্তির যে – কোনো কার্যসম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
(8) লক্ষ্য নির্ভর: শিক্ষার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল প্রতিটি মানুষের জীবনের লক্ষ্যপূরণ। শিক্ষা হল লক্ষ্য নির্ভর একটি সামাজিক প্রক্রিয়া। সমাজের প্রতিটি ব্যক্তি তার জীবনের লক্ষ্য ও সামর্থ্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষাকে পরিচালিত করে।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।