Q. Briefly discuss the Cripps Mission.
§ প্রেক্ষাপট:
জার্মানিরা প্রায় সমগ্র
ইউরোপ দখল করার ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিমুখ ক্রমশ মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে যেতে
থাকে। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে জাপানের আক্রমণের ফলে রেঙ্গুনের পতনের পর চার্চিল আশঙ্কা করেন
তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হতে চলেছে কলকাতা ও মাদ্রাজ। জাপানের আক্রমণের ভীতি ইংরেজদের সচেতন করে এবং তারা
বুঝতে পারে ভারতীয়দের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এই জটিল পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব
নয়। অন্যদিকে ব্রিটিশ সরকার সহজেই অনুভব করেছিলেন যুদ্ধে ভারতীয়দের সক্রিয় সহযোগিতা
পেতে হলে ভারতীয়দের স্বাধীনতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের
মার্চ মাসে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার জন্য যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য,
খাতনামা আইনবিদ ও একনিষ্ঠ সমাজতন্ত্রী হিসেবে খ্যাত স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসকে ভারতে পাঠানোর
ঘোষণা করেন।
§ ক্রিপস প্রস্তাব:
এতে
বলা হয়—
১.ক্রিপস
কানাডার মত ভারতকে ‘ডোমিনিয়ন' মর্যাদা দেওয়া হবে।
২.যুদ্ধের
পর ভারতীয়দের নিয়ে একটি সংবিধান সভা গঠনের মাধ্যমে নতুন শাসনতন্ত্র রচনা করা হবে;
ব্রিটিশ ভারতের ও দেশীয় রাজ্যের সদস্যরা যথাক্রমে প্রাদেশিক আইনসভার নিম্ন কক্ষ ও
রাজাদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন।
৩.যদি
কোনো প্রদেশের এই নতুন সংবিধান পছন্দ না হয় তবে সেই প্রদেশ ভারতীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে
আসতে পারবে।
৪.যুদ্ধকালীন
পরিস্থিতিতে এই নতুন সংবিধানের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
৫.ব্রিটিশ
সর্বাধিনায়কের হাতে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব থাকলেও প্রতিরক্ষার সদস্য হিসেবে একজন ভারতীয়কে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা
করা হয়।
§ পরিণতি:
ক্রিপস
প্রস্তাব ভারতীয়দের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। কংগ্রেস এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করেছিল
কয়েকটি কারণে—
১.কেবল
ডোমিনিয়ন মর্যাদার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু স্বাধীনতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি
দেওয়া হয়নি।
২.এই
প্রস্তাব ভারতীয় ইউনিয়ন থেকে পৃথক হবার অধিকার দেয় অর্থাৎ এই প্রস্তাবের মাধ্যমে
পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল।
৩.প্রস্তাবিত
সংবিধান সভায় ভারতীয় প্রতিনিধিদের নির্বাচনের সম্পূর্ণ অধিকার প্রদান করা হয়নি অপরদিকে
দেশীয় রাজ্যগুলির সদস্যরা সাধারণ জনগণের পরিবর্তে কেবলমাত্র রাজাদের দ্বারাই নির্বাচিত
হতে পারবে- এই প্রস্তাবে কংগ্রেসের আপত্তি ছিল।
৪.প্রতিরক্ষা
দপ্তরের দায়িত্ব ব্রিটিশদের হাতে ছিল এবং প্রয়োজনে ভারতীয় সম্পদকে ব্রিটিশ সরকার
যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করতে পারত। কংগ্রেস এই প্রস্তাবে অসন্তুষ্ট বোধ করে। গান্ধীজী
ক্রিপস প্রস্তাবকে ‘ফেলে রাখা ব্যাংকের চেক' বলে অভিহিত করেছেন।
§ ব্যর্থতার কারণ:
১.ক্রিপস
প্রস্তাবটি ছিল সম্পূর্ণরূপে লোক দেখানো কারণ ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের রাজনৈতিক দাবি
ও স্বাধীনতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ অনিচ্ছুক মনোভাব প্রকাশ করেছিল।
২.প্রধানমন্ত্রী
চার্চিল, বড়লাট লিনলিথগো, ওয়াভেল সকলেই হিন্দু মুসলিম অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে ব্রিটিশ
আধিপত্য কায়েম করতে চেয়েছিলেন।
৩.কূটনীতিবিদ
হিসেবে ক্রিপস্ তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেননি। তার দ্বৈত আচরণ কংগ্রেস, লীগ ও দেশীয়
রাজাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই
আমাদের প্রতশ্রুতি
6295916282,7076398606
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।