ক্রন্দনরতা জননীর পাশে//দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা(SAQ)//মৃদুল দাশগুপ্ত

Nil's Niva
0

 



দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা(SAQ)

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে

                                    -মৃদুল দাশগুপ্ত

১.‘আমি তা পারি না’-কবি কী পারেন না?

উত্তরঃ 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে 'কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত নিখোঁজ মেয়েটির ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ দেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিধির বিচার চাইতে পারেন না।  

২.‘যা পারি কেবল’-কে কী পারেন?

উত্তরঃ কবি মৃদুল দাশগুপ্ত কাপুরুষের মতো বিধির বিচার চাইতে পারেন না। তিনি পারেন কলমের মাধ্যমে  প্রতিবাদে গৰ্জে উঠতে অর্থাৎ নিজের বিবেককে জাগিয়ে রাখতে।  

৩.‘কেন ভালোবাসা, কেন বা সমাজ /কিসের মূল্যবোধ!’- কোন মানবিক যন্ত্রনা থেকে কবি একথা বলেছে?  

উত্তরঃ কবি মৃদুল দাশগুপ্ত জননীর অপমান ,লাঞ্ছনা এবং আগ্রাসি মানুষের বর্বরতা দেখে ব্যথিত এবং মর্মাহত হয়েছেন। তাই কবি মানুষের প্রতি ভালোবাসা ,সামাজিক অব্ক্ষয় ও মূল্যবোধ  নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।  

৪.‘আমার বিবেক, আমার বারুদ’-কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় শব্দ দুটি প্রয়োগের মাধ্যমে কবি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে জাগাতে চেয়েছেন এবং নিজের মনের মধ্যে জমে থাকা ক্রোধের কথা উল্লেখ করতে এরূপ মন্তব্য করেছেন।  

৫.‘যে মেয়ে নিখোঁজ’-জঙ্গলে তাকে কীরূপ অবস্থায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ যে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল তাকে জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন ও লাঞ্ছিত অবস্থাতে পাওয়া যায়।  

 

 

৬.ক্রন্দনরতা জননীর পাশে না থাকলে কবি কী কী ব্যার্থ বলে মনে করেছেন?

উত্তরঃ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে না থাকলে কবি লেখা,গান গাওয়া ,আঁকাআঁকি প্রভৃতি সংস্কৃতিকে বৃথা বলে মনে করেছেন।  

৭.‘নাই যদি  হয় ক্রোধ’-ক্রোধ হওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ মানবিক ও সামাজিক কবি তার নিহত ভাইয়ের মৃত দেহ দেখে ক্রোধ হওয়ার কথা বলেছেন।

৮.‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় জননী ক্রন্দনরতা কেন? 

উত্তরঃ বঙ্গ জননীর দরিদ্র ,অসহায় সন্তানের উপর আগ্রাসী বর্বর মানুষের অত্যাচার নেমে এসেছে।  তাই জননী আজ ক্রন্দনরতা। 

৯.‘এখন যদি না থাকি’-এখন বলতে কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ক্রন্দনরতা অসহায় জননী তথা দুঃখী মাতৃভূমির অসহায় পরিস্থিতিতে তার পাশে না থাকার কথা বলেছেন।    

১০. ‘সেই কবিতায় জাগে’-কী জাগার কথা কবি বলেছেন?

উত্তরঃ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবির বিবেক তথা  চেতনার জেগে ওঠার কথা বলা হয়েছে।

১১.‘সে-ই কবিতায় জাগে আমার বিবেক’- ‘বিবেক’-কে কীসের সঙ্গে তুলনাকরা হয়েছে?

উত্তরঃ কবি স্বয়ং তাঁর বিবেককে বারুদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।   

১২.‘আমার বিবেক, আমার বারুদ /বিস্ফোরণের আগে’।- এর মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

ঊত্তরঃ সমাজসচেতন কবি সমাজের বুকে ঘটে যাওয়া অন্যায় -অবিচারের প্রতিকার চেয়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে বিবেকবান প্রতিবাদী মানুষ।  তাই তিনি চেয়েছেন চূড়ান্ত বিস্ফোরণের  আগে তাঁর মনের মধ্যে জমে থাকা বারুদের যেন হদিস দিতে পারে তার লেখনী।

 

১৩.'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে 'কবিতায় কবির বিবেক কী বলতে চাইছেন?

ঊত্তরঃ  সমাজসচেতন কবি আলোচ্য কবিতায় ‘আমার বিবেক’ বলতে বুঝিয়েছেন তাঁর প্রতিবাদী,কর্তব্য পরায়ণ ও শুভ বুদ্ধির জাগরণকে।  অসহায় মানুষের জন্য দরদী ও সংবেদনশীল তাঁর বিবেক।  

১৪. ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবির কী মনে হবে?

উত্তরঃ কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ‘ক্রন্দনরতা জননী’ অর্থাৎ মাতৃভূমির বিপন্ন মুহূর্তে তার পাশে না থাকলে, লেখালেখি, গান গাওয়া, আঁকাআঁকির মতো সৃজনশীল কর্মকে অর্থহীন বলে মনে করেছেন।

১৫. ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতাটি কোন্‌ মূল কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তরঃ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতাটি ‘ধানক্ষেত থেকে’ মূল কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার

তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি

নিতিশ স্যারঃ 6295916282; 7076398606

জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার

তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি

অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
bookstore