রূপনারানের কূলে
– রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [প্রশ্ন মান- ১]
১. “জেগে উঠিলাম”-কবি
কোথায়, কীভাবে জেগে উঠলেন?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রূপনারানের কূলে আসন্ন মৃত্যুর করাল গ্রাসে আচ্ছন্ন মগ্নচৈতন্য থেকে জেগে উঠলেন অর্থাৎ
চেতনা ফিরে পেলেন।
২.“সে কখনো
করে না বঞ্চনা”– এখানে ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উওরঃ ‘শেষলেখা’ কাব্যের অন্তর্গত
‘রূপনারানের কূলে’ নামাঙ্কিত কবিতায় ‘সে’ বলতে ‘কঠিনের কথা বলা হয়েছে।
৩.“সত্য যে
কঠিন”– কবি ‘সত্য’কে ‘কঠিন’ বলেছেন কেন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সত্যকে উপলব্ধি করেছেন কঠিন আঘাত ও চরম বেদনার মধ্যে দিয়ে। তাই যে জীবন সাধারণ কল্পনায়
আসে, যে জীবন রোমান্টিক স্বপ্ন বিলাসের, সেই জীবনকে প্রত্যাশা করেননি কবি। তাই সত্যকে
তিনি খুঁজেছেন কঠিনের মধ্যে।
৪.“সত্যের
দারুণ মূল্য” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ মৃত্যুপথযাত্রী কবি
জগৎকে সত্য হিসেবে দেখেছেন। দুঃখের তপস্যায় তিনি নিজেকে চিনেছেন। সত্যের সাধনা যে
কত কঠিন এবং তার জন্যে কতখানি ত্যাগ করতে হয় সেই উপলব্ধিকে ব্যক্ত করতে গিয়ে উদ্ধৃত
উক্তিটি করেছেন কবি।
৫.“রক্তের
অক্ষরে দেখিলাম।” “রক্তের অক্ষরে’ কবি কী দেখেছিলেন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘রক্তের অক্ষরে’ দেখেছিলেন তার আত্মরুপ তথাৎ ‘আপনার রূপ’ দেখেছিলেন রক্তের অক্ষরে।
৬.‘রূপনারানের
কূলে’ কবিতাটি কোন্ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?
উওরঃ ‘রূপনারানের কূলে’
কবিতাটি
‘শেষ লেখা’
কাব্যের
অন্তর্ভুক্ত।
৭.“চিনিলাম
আপনারে” – কবি আপনাকে কীভাবে চিনেছিলেন?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
লিখেছেন, তিনি আঘাতের মধ্যে দিয়ে, বেদনার মধ্যে দিয়ে নিজের স্বরূপকে চিনতে পেরেছিলেন
অর্থাৎ আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায় কবি নিজেকে চিনেছেন।
৮.“রূপনারানের
কূলে জেগে উঠলাম।” কে রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্বয়ং রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন।
৯.“আমৃত্যু
দুঃখের তপস্যা এ জীবন।” জীবন’-কে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জানতেন, জীবনে দুঃখের আধার রাত্রি বার বার ঘনিয়ে আসে। কোনো এক অদৃশ্য নাগপাশে আমরা
বাঁধা পড়ে থাকি। ফলে আমাদের শান্তি বিঘ্নিত হয্আর তাছাড়া আমাদের সারা জীবন জুরে অনেক
দুঃখ-কষ্ট স্বীকার করতে হয়, এজন্যে কবি জীবন’কে ‘দুঃখের তপস্যা’ বলেছেন।
১০.“জানিলাম
এ জগৎ স্বপ্ন নয়” কীভাবে কবি একথা জেনেছিলেন?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
‘রূপনারানের কূলে’ যখন জেগে উঠেছিলেন, অর্থাৎ তিনি যখন মানবসংসারে জেগে উঠেছিলেন, তখনই
জেনেছিলেন এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
১১. “সত্যকে
ভালোবাসিলাম” কবি কোন সত্যকে ভালোবেসেছিলেন?
উত্তরঃ সে সত্য রূঢ় বাস্তব,
যাকে মানুষ মেনে নিতে বাধ্য কবি একথা উপলব্ধি করে সেই সত্যকেই ভালোবেসেছিলেন।
১২.সত্য প্রকাশের
ক্ষেত্রে কবির বক্তব্য কী?
উত্তরঃ সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে
কবির বক্তব্য – সত্য অপ্রকাশিত থাকে না অর্থাৎ সত্য কখনো গোপন থাকে না।
১৩.রূপনারানের
কূলে কবিতায় মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শোধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন?
উত্তরঃ জীবনের পদে পদে বিচিত্র
দুঃখ-বেদনার আঘাতে আঘাতে কঠিন সত্যকে স্বীকার করে মৃত্যুকে বরণ করলেই জীবনের ঋণ শোধ
করা সম্ভব।
১৪. “কঠিনেরে
ভালোবাসিলাম”-কঠিনকে ভালোবাসার কারন কী?
উত্তরঃ ‘রূপনারানের কূলে’
কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ কঠিনকে ভালোবাসলেন,-কারন কঠিন সত্য বাস্তব অ সুপ্রতিষ্ঠিত এবং
তা কখনও বঞ্চনা করে না।
১৫.“রূপনারানের
কূলে জেগে উঠিলাম”—জেগে ওঠার অর্থ কী?
উত্তরঃ জেগে ওঠা বলতে আত্মোপলব্ধির
পথ ধরে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নবতর ধারণাকেই বোঝানো হয়েছে |
১৬.“রক্তের
অক্ষরে দেখিলাম”—‘রক্তের অক্ষরে’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ ব্যক্তিগত জীবনে রবীন্দ্রনাথ
নানা আঘাতে বেদনায় জর্জরিত হয়েছিলেন। ‘রক্তের অক্ষরে বলতে কবির ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের
উপলব্ধিকেই বোঝানো হয়েছে |
১৭.সত্যের
দারুণ মূল্য লাভ করার জন্য কবি কী করতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ সত্যের দারুণ মূল্য
লাভ করার জন্য কবি মৃত্যুতে জীবনের সব ঋণ শোধ করে দিতে চেয়েছেন।
১৮.’রূপনারান’ কি ?
উত্তরঃ রূপনারান হলো রূপময়
জগৎ।
১৯.কবি কোন
সত্যকে ভালোবেসেছিলেন?
উত্তরঃ সে সত্য রূঢ় বাস্তব,
যাকে মানুষ মেনে নিতে বাধ্য কবি একথা উপলব্ধি করে সেই সত্যকেই ভালোবেসেছিলেন।
২০.কবি নিজেকে
চিনলেন কীভাবে?
উত্তরঃ জীবনসায়াহ্নে পৌঁছে
অভিজ্ঞতার কষ্টিপাথরে নিজেকে যাচাই করেছেন কবি। মানবসভ্যতার ধ্বংসকারী সত্তার সঙ্গে
যুঝে নিজের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে আত্মানুসন্ধানের স্থলে সত্যানুসন্ধান করেছেন কবি।
জ্ঞ্যানজ্যোতি কোচিং সেন্টার
তোমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব আমরা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি
অনলাইনে কোচিং নিতে হলে এবং বিভিন্ন নোট নিতে হলে এই নাম্বারে কল করুন।